বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

ব্লগঃ-২


আজকের দ্বিতীয় ক্লাসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের প্রথম বিষয় হচ্ছে ব্লগ। যেহেতু একেবারে একজন নতুন ফ্রীল্যান্সার থেকে শুরু করে একজন প্রফেশনাল ফ্রীল্যান্সার পর্যন্ত আমাদের আওতাই আনার চিন্তা ভাবনা। তাই অনেক খুঁটি নাতি বিষয় আলোচনা করা হবে। একেবারে বেসিক জিনিস দিয়ে শুরু করা হবে। আমরা আজকের আলোচনাই চলে যাব। আজকের আলোচনা বিষয় হচ্ছে  ব্লগস্পট

#  ব্লগস্পট কি ?
# কিভাবে একটি নতুন ব্লগ খুলবেন ?
# ব্লগস্পটে বিভিন্ন জিনিসগুলার সাথে পরিচিতি লাভ ?
# ব্লগস্পটে কিভাবে একটি নতুন পোস্ট তৈরি করবেন ?
# ব্লগস্পটে কিভাবে ক্যাটাগরি তৈরি করবেন ?

তো আমরা প্রথম বিষয়ে চলে যায়। ব্লগস্পট কি ?

ব্লগস্পট হল ফ্রী ব্লগিং সাইট। যেখানে আপনি একটা ফ্রী ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। গুগল এর একটি শাখা হল ব্লগস্পট। গত পর্বে আমরা ব্লগস্পট সম্পর্কে বলেছিলাম। এটি কিভাবে তৈরি হয়। যাই হোক এই ব্লগস্পট দিয়ে আপনি প্রথম ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এইরকম ফ্রী ব্লগিং সাইট অনেক আছে। এর ভিতরে ব্লগস্পট একটি অন্যতম । মাকিক্সামাম ক্ষেত্রে জরিপ করলে দেখা যায় ব্লগস্পট ব্যবহারকারীর সংখ্যা টা বেশি। তাই ব্লগস্পট কে একটু ভিন্ন ভাবে দেখা হয়। আমরা ব্লগস্পট সম্পর্কে কিছুটা ধারনা লাভ করতে পারছি আশা করি।

কিভাবে একটি নতুন ব্লগ খুলবেন ?

যেহেতু আজকে আমরা ব্লগস্পট নিয়ে আলোচনা করছি। তাই ব্লগস্পটে কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।

প্রথমতঃ আপনার যদি জিমেইল থাকে তাহলে সেই টা দিয়ে ব্লগ খুলতে পারেন। অথবা না থাকলে একটা নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলুন।

দ্বিতীয়তঃ http://www.blogspot.com এই সাইট টিতে প্রবেশ করুন।

তৃতীয়তঃ লগ ইন পেজে আপনার সেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিন এবং তার পাসওয়ার্ড দিন। যদি বাংলা থাকে তাহলে উপরে দেখুন ডান সাইট এ ভাষা নামের একটি বক্স দেখা যাচ্ছে। ওখান থেকে ইংরেজি সিলেক্ট করে দিন। এরপর Continue Blog এ ক্লিক করুন। এবং NEW Blog  এ ক্লিক করুন।  দেখবেন নিচের মত একটি পেজ আসবে।


চতুর্থতঃ এখানে যেয়ে আপনার ব্লগের টাইটেল টা লিখুন। এরপর ব্লগ অ্যাড্রেস দিন। এবং  পছন্দমত একটি থিম সিলেক্ট করুন। এরপর Create Blog বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটা ফলো করুন।

এইবার এখান থেকে এই মার্ক করা চিহ্নটি তে ক্লিক করুন। এইটা আসলে আপনার ব্লগের টাইটেল। আমি দেখানর জন্য এইরকম একটি হিজিবিজি নাম দিয়ে রেখেছি।  

একটি ব্লগস্পট ব্লগের ভিতর যত ধরনের কাজ আছে সব এই সিলেক্ট করা যিনি গুলার মধ্যে । নিচের ছবিটা তে সিলেক্ট করা জিনিসগুলা দেখুন


ব্লগস্পটে বিভিন্ন জিনিসগুলার সাথে পরিচিতি লাভঃ

New Post:  

এইটাতে রাইট বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পোস্ট তৈরি করার জন্য জাইগা দেওয়া হবে। এই টাতে ক্লিক করে সব ধরনের নতুন নতুন পোস্ট আপডেট করা যায়।

Posts:

আপনি কতগুলা পোস্ট করছেন এইটাতে ক্লিক করলে জানতে পারবেন। যদি কোন পোস্ট ইডিট করা বা ডিলিট করা লাগে আপনাকে এই পোস্ট এ ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনার ব্লগে পোস্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানান যাবে।

Pages:

আমরা অনেক সময় খেয়াল করি যে বিভিন্ন সাইট Home এর পাশে Contact us, About Us  ইত্যাদি বিষয় থাকে। আপনিও যদি আপনার ব্লগে এই রকম কিছু করতে চান তাহলে এই বাটনটি তে ক্লিক করতে হবে।

Comments:

আপনার ব্লগে যদি কোন ভিজিটর কমেন্ট করে তাহলে আপনি এইটাতে দেখতে পারবেন। আপনি এইখান থেকে আপনার ব্লগের কমেন্টের এর সব তথ্যগুলা পাবেন। আপনি ইচ্ছা করলে কমেন্ট বন্ধ করে দিতে পারেন। অথবা কোন কমেন্ট ইডিট করে পারেন।

Google+:

যেহেতু এটি গুগল এর একটি শাখা তাই আমরা জানি যে ফেসবুক এর মত একটি সোশ্যাল নেটওয়ারকিং শাখা গুগলের আছে। তাই সরাসরি গুগল এইটা আপনি শেয়ার করতে পারেন আপনার মূল্যবান পোস্টগুলা। এতে করে আপনার সাইট এ ভিজিটর আসে।

Stats:

এইখান থেকে আপনি আপনার সাইট এর ভিজিটর দের বিচরন গুলা দেখতে পারবেন। বিস্তারিত সামনের কোন একটি পর্বে লেখা হবে। তখন পুরা বিচরন আপনি লাইভ দেখতে পারবেন।
Earnings: আমরা এখন নিশ্চয় সবাই জেনে গেছি ব্লগস্পট একটি গুগলের শাখা। গুগলের অ্যাডভারটাইজিং প্রোগ্রাম এর নাম হচ্ছে অ্যাডসেন্স। এই অ্যাডসেন্স থেকে আপনি আয় করতে পারেন। আপনার আয়ের বিস্তারিত তথ্য এখান হতে পাবেন। এইটা শুধু মাত্র গুগল থেকে আয়ের বিস্তারিত জানা যাবে। অন্ন কিছু থেকে ইঙ্কাম করলে কিন্তু এইখান থেকে কোন ধরনের তথ্য পাওয়া যাবে না।

Layout:

আপনার সাইট এর পুরা ভিউ টা দেখতে কেমন হবে এই লে আউট এর মাধ্যমে আপনি ইডিট করতে পারবেন। যেমনঃ আপনার সাইট এ কতটি কলাম এবং কতটি রো হবে। কোন কলামে বা রো তে কি জিনিসগুলা শো করবে। কোন গুলা করবে না। সব কিছু এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন। লে আউট আসলে একটা ব্লগের প্রান বলা যায়। কারন লে আউট টা ভাল করে শখতে পারলে ব্লগস্পট নিয়ে আর কোন ধরনের কনফিউশন থাকে না। যাই হোক আমরা এই বিষয়ে পরে আলোচনা করব। কোন ধরনের টেনশন নেওয়ার কিছু নেই।

Template:

এইখান থেকে আপনি আপনার মনের মত থিম নিতে পারবেন। অথবা থিম অন্য জাইগা থেকে নিয়ে এসে আপনি এখানে ইডিট করে দিতে পারেন। যারা ওয়েব ডিজাইনার তারা এইসব থিম গুলাকে ইডিট করে ব্লগের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। এতে করে ভিজিটর গন ব্লগে এসে ঘুরতে উৎসাহিত হন।

Settings:

শব্দটা পড়েই বোঝা যাচ্ছে যে এইটা কি হতে পারে। এক কথাই বলা যায় যে। আপনার ব্লগের প্রিভিসি এবং পলিসি আপনি এইখান থেকে নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এইখান একটু ঢুকলে আপনি ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন।

ব্লগস্পটে কিভাবে একটি নতুন পোস্ট তৈরি করবেন ?

 আমি পূর্বেই বলে দিছি কোথাই ক্লিক করলে একটি নতুন পোস্ট করার জাইগা দিবে। যাই হোক বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়। ওইখানেই ক্লিক করুন এবং নিচের ছবিটার সাথে দেখুন মিল আছে কি না। এবং ছবিটাতে মারকিং করে যে নাম্বার গুলা দেওয়া আছে তার বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল।


১) পোস্টের টাইটেল দিন।
২) এরপর লিখুন আপনার যা লেখার জন্য এটি ওপেন করেছেন।
৩) ফন্ট পরিবর্তন, ফন্টের সাইজ, ফন্টের কালার এইখান থেকে পরিবর্তন করতে পারেন ।
৪) আপনি যদি কোন লেখাকে লিঙ্কে পরিনত করতে চান তাহলে ওই বাটন টিতে ক্লিক করুন। এরপর যে সাইট বা URL এর সাথে লিঙ্ক করে দিতে চান সেইটা দিন। ওকে করুন। লিঙ্ক তৈরি হয়ে যাবে।
৫) এইখানে আপনি পোস্টের ভিতর ইচ্ছা করলে ছবি দিতে পারবেন। ইচ্ছা করলে ভিডিও আপলোড দিতে পারেন। অথবা কোন লিঙ্ক দিলেও এখানে ছবি হিসেবে বা ভিডিও হিসেবে শো করবে। যেহেতু এটি অটোমেটিক এইচটিএমএল এ পরিনত হয়। তাই এই সুবিধা গুলা এখান থেকে পাওয়া যায়।  
৬) চাইলে আপনি আপনার ব্লগটিতে লেখা টা প্রকাশ করতে পারেন Publish এ ক্লিক করে। অথবা সেভ করে রাখতে পারেন আবার প্রিভিউ করে দেখতে পারেন। আর মন না চাইলে ক্লোজ বাঁটনে ক্লিক করে ওই পোস্তটারে বাতিল বলে বিবেচনা করা যায়।
এইভাবে একটি নতুন পোস্ট তৈরি করতে হয়।

# ব্লগস্পটে কিভাবে ক্যাটাগরি তৈরি করবেন ?

আমরা বিভিন্ন ধরনের সাইট এ বা ব্লগে লক্ষ্য করলে দেখতে পাব যে, বিভিন্ন জিনিসের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরি দিয়ে থাকে। ধরি আপনার সাইট টি Entertainment নিয়ে। এখন আর ভিতএ Hollywood, Bollywood, Tollywood ইত্যাদি নামে ক্যাটাগরি আপনি বানাতে চান। তাহলে প্রথমে আপনাকে পোস্টের ভিতর যেতে হবে। পাশে লেবেল এ ক্লিক করতে হবে এবং ওখানে লিখবেন আপনার ক্যাটাগরি নাম। পরবর্তীতে যদি ওই একই ক্যাটাগরির মধ্যে আবার আর একটি নতুন পোস্ট দিতে চান তাহলে ওই টা আবার সিলেক্ট করুন। দেখুন ক্যাটাগরি তৈরি হয়ে যাবে। নিচের ছবিটার দিকে লক্ষ্য করুন। দেখুন আমি ওই পোস্ট টাকে Hollywood  ক্যাটাগরির ভিতর রাখছি। এইভাবে আপনি ক্যাটাগরি তৈরি করতে পারেন আপনার ব্লগের জন্য।


এখন ভিউ ব্লগে ক্লিক করুন। দেখুন আপনার পোস্টটি এবং আপনার ব্লগ টি শো করছে।

একটা জিনিস মাথাই রাখবেন অ্যাড্রেস টা কি? এইটা নিয়ে নতুন্দের যদি কনফিউশন না থাকে তাই একটু বলছি। আপনার ব্লগে মানুষ আসবে তার জন্য ওই অ্যাড্রেস টা ব্যবহার হয়। যে  সব ব্লগ গুলা টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয় যেমনঃ অমুক ডট কম, তমুক ডট কম ইত্যাদি। এগুলোর অ্যাড্রেস টা ছোট হয়। কিন্তু যে সব ফ্রী ব্লগিং সাইট এ ফ্রী ব্লগ তৈরি করে ব্লগিং করা হয় তারা নিজদের ব্লগ টা প্রচার করার জন্য অতিরিক্ত কিছু জুরে দেও। যেমন আপনি যদি ব্লগস্পট এ ব্লগ তৈরি করেন তাহলে অ্যাড্রেস টা দেখবেন হবে অমুক ডট ব্লগস্পট কম, তমুক ডট ব্লগস্পট কম। আর সর্বদা ছোট অ্যাড্রেস ব্যবহার করবেন। জাতে করে ভিজিটর আপনার ব্লগের অ্যাড্রেস টা সহজে মনে রাখতে পারে।


আশা করি আপনারা আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। অনেক কষ্ট হয়ে গেছে লিখতে যেয়ে। হাত ব্যাথা হয়ে গেছে। আর লিখতে পারছি না। তাহলে আজকের মত ক্লাস এখানে শেষ। সামনের ক্লাসে আমরা ব্লগিং এর জন্য সবচেয়ে পাওয়ারফুল সাইট ব্লগস্পট নিয়ে ক্যাটাগরি গুলা বিস্তারিত আলোচনা করব। কেমন লাগছে আজকের ক্লাস অবশ্যই জানাবেন। আর কোন ধরনের বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আমরা অবশ্যই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর  দিব। আমাদের সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

ব্লগঃ-১






                                                                        


আজকের প্রথম ক্লাসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের প্রথম বিষয় দিয়ে আজকে শুরু করব। আমাদের প্রথম বিষয় হচ্ছে ব্লগ। যেহেতু একেবারে একজন নতুন ফ্রীল্যান্সার থেকে শুরু করে একজন প্রফেশনাল ফ্রীল্যান্সার পর্যন্ত আমাদের আওতাই আনার চিন্তা ভাবনা। তাই অনেক খুঁটি নাতি বিষয় আলোচনা করা হবে। একেবারে বেসিক জিনিস দিয়ে শুরু করা হবে। আমরা আজকের আলোচনাই চলে যাব। আজকের আলোচনা বিষয় হচ্ছে

১) ব্লগ ইতিহাস ?
২)  ব্লগ কি ?
৩) কেন প্রয়োজন ?
৪) বর্তমান সময়ে ব্লগ কি ধরনের ভুমিকা পালন করছে ?
৫) ব্লগ করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় ?

ব্লগ ইতিহাসঃ  

ব্লগ (Blog) শব্দটি উৎপত্তি হয় ওয়েব ব্লগ ( Web Blog) থেকে। ১৯৯৭ সালে জন বার্গার নামে একজন ভদ্র লোক এই  ওয়েব ব্লগ ( Web Blog)  শব্দটা ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল বা মে মাসের দিকে পিটার মেরহলজ ঠাট্টা করে তার ব্লগ পিটারমে.কম এর সাইড বারে ওয়েব ব্লগ শব্দটা ভেঙ্গে উই ব্লগ (We Blog)  হিসেবে লেখেন।  এর কিছুদিনপর ইভান উইলিয়ামস ব্লগ শব্দটার একটা মানে দাড় করান। ব্লগ মানে দাড়াই “কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া” এবং পাইরা লাবের ব্লগার পণ্যর সাথে  সম্পর্ক রেখে ব্লগার ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন ব্লগ শব্দটি।
এর শুরুটা ধীরগতিতে এগুলেও এটা খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সালের পর থেকে ব্লগিং জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়েরি নামক নামান। যা থেকে হাজার হাজার হাজার ব্লগ এর উৎপত্তি হয়। ওপেন ডায়েরীর আবিস্কার ছিল মন্তব্য করা, অন্য ব্যাক্তির ব্লগে যেয়ে লেখা। ১৯৯৯ সালে এর মার্চে ব্রাড ফিউজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল।
১৯৯৯ সালের আগস্টে ইভান উইলিয়ামস এবং পাইরা ল্যাবস ব্লগার.কম চালু করেন। যা পরবর্তীতে গুগল কিনে নেয়। গুগল এটি ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি কিনে নেয়।

ব্লগ কিঃ

ব্লগ এমন একটি ধরনের সাইট কে বোঝাই যেখানে সাধারন মানুষ পোস্ট করতে পারে, কমেন্ট করতে পারে। লেখক নিজে তার নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে। এইটাকে একভাবে সামাজিক যোগাযোগের সাইট বলা যায়। কারন একটি ব্লগে হাজার হাজার মানুষের সমাগম। সেখানে তারা নিজের মত ঘুরেন। ব্লগে প্রতিনিয়ত কনটেন্ট আপডেট হয়। ওয়েব সাইট কিন্তু আলাদা জিনিস। যেখানে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয় না। দেখা যায় কেউ করেছে আপডেট আবার কেউ করে না। কিন্তু ব্লগ গুলাতে প্রতিনিয়ত পোস্ট হয়। সে ব্লগের মালিক করুক অথবা পাঠকরা করুক। এক কথাই ব্লগ হতে হলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত কনটেন্ট আপডেট হতে হবে। আর যারা এই সব ব্লগ লেখেন তারা হলেন একজন ব্লগার।

ব্লগ কেন প্রয়োজনঃ

ব্লগ বাদে যদি আমরা ওয়েব সাইট গুলাতে একটু তাকাই তাহলে দেখব যে ম্যাক্সিমাম অ্যাফিলিয়েট করে। ব্লগ এমন একটি জিনিস যে পৃথিবীর এখন সব জ্ঞান এর ভিতর লুকায়িত থাকে। যা একটি ওয়েব সাইট এ কখন পাবেন না। আপনি যে ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে চান শুধু একটু ব্লগের দিকে তাকান দেখুন আপনি আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন।  ব্লগের মাধ্যমে আমি নিজের যোগ্যতা যাচাই করতে পারেন। আপনি যা জানেন হয়তো অন্য আরেকজন জানেনা আবার অন্য আরেকজন যা যানে আপনি সেইটা জানেন না। ব্লগের মাধ্যমে এইসব জ্ঞান  গুলা শেয়ার হয়। একজন অদক্ষ মানুষও হয়ে উঠতে পারে দক্ষ মানুষে। পরিবর্তন করে দিতে পারে একটা সমাজ ব্যবস্থা। পৃথিবীর সব অনলাইন জগতের মানুষগুলা ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত। তাই বলা যায় যে ব্লগ আমাদের নিত্যদিনের জন্য খুবই প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে ব্লগ কি ধরনের ভুমিকা পালন করছেঃ

আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে ব্লগ একটি মারাত্মক ভুমিকা পালন করছে। বিভিন্ন ধরনের নিউজ পেপারগুলা ব্লগ খুলে সংবাদ প্রচার করছে। সামজিক যোগাযোগ বাবস্থাপনা আরও সহজ হে গেছে।  সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে গেল বা চলছে এখন যেইটা আমরা শাহবাগ বা প্রজন্ম চত্বর হিসেবে জানি। এখনে যারা একত্রিত হয়েছেন তারা শুরুতে ব্লগিং করার মাধ্যমে জড় হয়েছেন। তাহলে বুঝতে পারছেন। এত বড় একটা ঘটনা কিভাবে এই ব্লগ সাহায্য করল। এখন মাক্সিমাম ফ্রীলান্সারগন তারা বিভিন্ন ধরনের ব্লগ তৈরি করছে। আর প্রচুর পরিমান ভিসিটর তারা পাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে তেমন প্রচুর পাঠক ও পাওয়া যাচ্ছে। টেকনরটি একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় ১১২.৮ মিলিয়ন এর ব্লগ তৈরি হয়েছে। তারপর আবার ৭২.৮২ মিলিয়ন চাইনিজ ব্লগ অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। এর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।

ব্লগ করলে কি সুবিধা পাওয়া যায়ঃ

ফ্রীল্যন্সারগন সর্বদা ব্লগিং এর পথ বেছে নেই এই কারনে যে এইটা থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। যা অন্য কোন ওয়ে থেকে বেশি পাওয়ারফুল। ব্লগারগন যেহেতু প্রতিনিয়ত তাদের ব্লগ আপডেট করে তাই এই সব ব্লগগুলাতে ভিসিটরগন প্রতিনিয়ত আসেন পড়তে। তাই এই সব ব্লগ গুলাতে অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলা তাদের নিজেদের পণ্যর জন্য বিজ্ঞাপন দেন। যত পরিমান ভিজিটর একটা ব্লগ এ বিচরন করেন তার উপর ভিত্তি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ তারা ব্লগের মালিকরে প্রদান করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভারটাজিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করেন ব্লগাররা। অ্যাডভারটাজিং প্রোগ্রামের এর মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স খুবই পাওয়ারফুল। যারা প্রচুর পরিমান অর্থ দেয়। এতে করে দেখা যায় একজন ব্লগার প্রতি মাসে সর্বনিম্ন  ২০০ ডলার আয় করতে পারেন। এছাড়া ব্লগিং পদ্ধতিটা বর্তমানে মানুষের ভিতর প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছে। যত ব্লগিং বাড়ছে তত অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ তত আধুনিক হচ্ছে। বর্তমানে মানুষ ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলাতে যেয়ে তার পছন্দের পণ্য অর্ডার করছেন এবং সেই জিনিস ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তির এই বর্তমান সময় টা ব্লগারদের জন্য আরও হেল্পফুল হচ্ছে। আকৃষ্ট ব্লগিং এর প্রতি।
তো আপনি কেন এই ব্লগিং থেকে পিছিয়ে আছেন। ফ্রীল্যান্সারদের বড় হাতিয়ার হল ব্লগ। তারা ব্লগ করে যেমন টাকা আয় করছেন ঠিক তেমনি পাচ্ছেন সন্মান। আমি এখন যাকে জিজ্ঞাস করি সেই বলে ভাই একটা ব্লগ নিছি। কাজ করছি। একবার ব্লগিং করে দেখেন কেমন মজা লাগে। ব্লগিং আপনাকে দিবে অবসর সময়ের বিনোদন। তাই আমি বলব আসুন সবাই শুরু করি ব্লগিং। আমার নিজের চোখে দেখা অনেক ভাল ভাল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্লগিং করছেন অনেকেই। ব্লগিং একদিকে যেমন আপনাকে গড়ে তোলে পারফেক্ট, মেধাবী, অধ্যাবসয়ী ঠিক তেমনি যোগান দেয় আপনার অর্থের। তাই সব ফ্রীল্যান্সারদেরকে একটা কথা বলি    

“ Blogging is one of the most important of your freelanching  life.
Because it`s very easy way for online income . So belive it ” 

আশা করি আপনারা আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। ব্লগিং টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আজকের মত ক্লাস এখানে শেষ। সামনের ক্লাসে আমরা ব্লগিং এর জন্য সবচেয়ে পাওয়ারফুল সাইট ব্লগস্পট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কেমন লাগছে আজকের ক্লাস অবশ্যই জানাবেন।


বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১২

***মায়ের ভালোবাসা***


 



'আমি কি আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারি?'

সদ্য মা হওয়া সুখী এক মহিলা ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলেন।
কিন্তু যখন তিনি তার সন্তানকে কোলে পেলেন তার চোখ
ফেটে এল জল।তার শিশুটি যে আর সবার মত স্বাভাবিক না।
শিশুটি জন্ম নিয়েছে দুটি কান ...ছাড়াই।
বছর গেল।দেখা গেল যে কান না থাকলেও ছেলেটি সবার মতই
স্বাভাবিকভাবে শুনতে পায়। শুধু কান দুটির শারীরিক
উপস্থিতি ছিল না।একদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে মায়ের
কোলে পড়ে কাঁদতে থাকল
ছেলেটি।'স্কুলে ছেলেরা আমাকে কানহীন দানব বলে ক্ষেপিয়েছে',ছে
লের কষ্টের কথা শুনে মাও কাঁদতে লাগলো।
হাতে গোনা কয়েকজন ভালো বন্ধু পেয়ে গেল সে,তাদের সাথেই
থাকতো স্কুলের সময়টা।সাহিত্য আর মিউজিকে ক্লাসে আর
সবার চেয়ে ভালোও করলো।
ফ্যামিলি ডাক্তার একবার একটি সুখবর নিয়ে আসলেন।
তিনি বললেন যে ছেলের কান তিনি প্রতিস্থাপন
করতে পারবেন,যদি কোনো সুস্থ মানুষের দুটি কান তাকে যোগার
করে দেয়া হয়।অনেক খোঁজাখুজি করেও কাউকে পাওয়া গেল না কান
দান করার জন্য।পুরো পরিবারের মন খারাপ।ছেলের মুখের
দিকে তাকাতে পারছিল না বাবা-মা।
অবশেষে একদিন বাবা ছেলেকে সুখবরটি দিলেন।
একজনকে পাওয়া গেছে যে তার কানদুটি দান
করতে রাজি হয়েছে,কিন্তু শর্ত একটাই তার পরিচয় গোপন
রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট দিনে অপারেশন হলো।ছেলে কান
ফিরে পেল,দুনিয়াতে এত সুখী সে নিজেকে কোনোদিনই ভাবেনি।
কিন্তু কার অবদানে সে আজ সুখী?এটা যে তাকে জানতেই হবে।
তাকে একটা ধন্যবাদও যদি না দিতে পারে তাহলে যে তার জীবনই
ব্যর্থ।কিন্তু বাবা জানাতে রাজী নয়।ছেলেটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ
দিল,শর্ত দিল,তাকে সেই মহানুভব ব্যাক্তির
সাথে দেখা না করালে সে খাবে না।বাধ্য হয়ে তার
বাবা তাকে জানাতে রাজী হলো।
সেই দিনটি ছিল ছেলের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
বাবা তাকে তাদের বেডরুমে নিয়ে গেল এবং তার মায়ের ঘন
কালো চুলগুলো দুহাত দিয়ে সরিয়ে দিল।ছেলেটি দেখলো যে তার
মায়ের কানদুটি নেই।
ছেলেটি অঝরে কাঁদতে লাগলো,'কিন্তু মা,কোনোদিন নিজের এক
টুকরো চুলও কাটতে দাওনি তুমি।'

এই হল মা... মায়ের কোনও তুলনা হয় না