বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

ব্লগঃ-১






                                                                        


আজকের প্রথম ক্লাসে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আমাদের প্রথম বিষয় দিয়ে আজকে শুরু করব। আমাদের প্রথম বিষয় হচ্ছে ব্লগ। যেহেতু একেবারে একজন নতুন ফ্রীল্যান্সার থেকে শুরু করে একজন প্রফেশনাল ফ্রীল্যান্সার পর্যন্ত আমাদের আওতাই আনার চিন্তা ভাবনা। তাই অনেক খুঁটি নাতি বিষয় আলোচনা করা হবে। একেবারে বেসিক জিনিস দিয়ে শুরু করা হবে। আমরা আজকের আলোচনাই চলে যাব। আজকের আলোচনা বিষয় হচ্ছে

১) ব্লগ ইতিহাস ?
২)  ব্লগ কি ?
৩) কেন প্রয়োজন ?
৪) বর্তমান সময়ে ব্লগ কি ধরনের ভুমিকা পালন করছে ?
৫) ব্লগ করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় ?

ব্লগ ইতিহাসঃ  

ব্লগ (Blog) শব্দটি উৎপত্তি হয় ওয়েব ব্লগ ( Web Blog) থেকে। ১৯৯৭ সালে জন বার্গার নামে একজন ভদ্র লোক এই  ওয়েব ব্লগ ( Web Blog)  শব্দটা ব্যবহার করেন। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল বা মে মাসের দিকে পিটার মেরহলজ ঠাট্টা করে তার ব্লগ পিটারমে.কম এর সাইড বারে ওয়েব ব্লগ শব্দটা ভেঙ্গে উই ব্লগ (We Blog)  হিসেবে লেখেন।  এর কিছুদিনপর ইভান উইলিয়ামস ব্লগ শব্দটার একটা মানে দাড় করান। ব্লগ মানে দাড়াই “কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া” এবং পাইরা লাবের ব্লগার পণ্যর সাথে  সম্পর্ক রেখে ব্লগার ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন ব্লগ শব্দটি।
এর শুরুটা ধীরগতিতে এগুলেও এটা খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সালের পর থেকে ব্লগিং জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়েরি নামক নামান। যা থেকে হাজার হাজার হাজার ব্লগ এর উৎপত্তি হয়। ওপেন ডায়েরীর আবিস্কার ছিল মন্তব্য করা, অন্য ব্যাক্তির ব্লগে যেয়ে লেখা। ১৯৯৯ সালে এর মার্চে ব্রাড ফিউজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল।
১৯৯৯ সালের আগস্টে ইভান উইলিয়ামস এবং পাইরা ল্যাবস ব্লগার.কম চালু করেন। যা পরবর্তীতে গুগল কিনে নেয়। গুগল এটি ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি কিনে নেয়।

ব্লগ কিঃ

ব্লগ এমন একটি ধরনের সাইট কে বোঝাই যেখানে সাধারন মানুষ পোস্ট করতে পারে, কমেন্ট করতে পারে। লেখক নিজে তার নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে। এইটাকে একভাবে সামাজিক যোগাযোগের সাইট বলা যায়। কারন একটি ব্লগে হাজার হাজার মানুষের সমাগম। সেখানে তারা নিজের মত ঘুরেন। ব্লগে প্রতিনিয়ত কনটেন্ট আপডেট হয়। ওয়েব সাইট কিন্তু আলাদা জিনিস। যেখানে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয় না। দেখা যায় কেউ করেছে আপডেট আবার কেউ করে না। কিন্তু ব্লগ গুলাতে প্রতিনিয়ত পোস্ট হয়। সে ব্লগের মালিক করুক অথবা পাঠকরা করুক। এক কথাই ব্লগ হতে হলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত কনটেন্ট আপডেট হতে হবে। আর যারা এই সব ব্লগ লেখেন তারা হলেন একজন ব্লগার।

ব্লগ কেন প্রয়োজনঃ

ব্লগ বাদে যদি আমরা ওয়েব সাইট গুলাতে একটু তাকাই তাহলে দেখব যে ম্যাক্সিমাম অ্যাফিলিয়েট করে। ব্লগ এমন একটি জিনিস যে পৃথিবীর এখন সব জ্ঞান এর ভিতর লুকায়িত থাকে। যা একটি ওয়েব সাইট এ কখন পাবেন না। আপনি যে ধরনের জ্ঞান অর্জন করতে চান শুধু একটু ব্লগের দিকে তাকান দেখুন আপনি আপনার সমাধান পেয়ে যাবেন।  ব্লগের মাধ্যমে আমি নিজের যোগ্যতা যাচাই করতে পারেন। আপনি যা জানেন হয়তো অন্য আরেকজন জানেনা আবার অন্য আরেকজন যা যানে আপনি সেইটা জানেন না। ব্লগের মাধ্যমে এইসব জ্ঞান  গুলা শেয়ার হয়। একজন অদক্ষ মানুষও হয়ে উঠতে পারে দক্ষ মানুষে। পরিবর্তন করে দিতে পারে একটা সমাজ ব্যবস্থা। পৃথিবীর সব অনলাইন জগতের মানুষগুলা ব্লগের সাথে সম্পৃক্ত। তাই বলা যায় যে ব্লগ আমাদের নিত্যদিনের জন্য খুবই প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে ব্লগ কি ধরনের ভুমিকা পালন করছেঃ

আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে ব্লগ একটি মারাত্মক ভুমিকা পালন করছে। বিভিন্ন ধরনের নিউজ পেপারগুলা ব্লগ খুলে সংবাদ প্রচার করছে। সামজিক যোগাযোগ বাবস্থাপনা আরও সহজ হে গেছে।  সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে গেল বা চলছে এখন যেইটা আমরা শাহবাগ বা প্রজন্ম চত্বর হিসেবে জানি। এখনে যারা একত্রিত হয়েছেন তারা শুরুতে ব্লগিং করার মাধ্যমে জড় হয়েছেন। তাহলে বুঝতে পারছেন। এত বড় একটা ঘটনা কিভাবে এই ব্লগ সাহায্য করল। এখন মাক্সিমাম ফ্রীলান্সারগন তারা বিভিন্ন ধরনের ব্লগ তৈরি করছে। আর প্রচুর পরিমান ভিসিটর তারা পাচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে ব্লগের সংখ্যা বাড়ছে তেমন প্রচুর পাঠক ও পাওয়া যাচ্ছে। টেকনরটি একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় ১১২.৮ মিলিয়ন এর ব্লগ তৈরি হয়েছে। তারপর আবার ৭২.৮২ মিলিয়ন চাইনিজ ব্লগ অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। এর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে।

ব্লগ করলে কি সুবিধা পাওয়া যায়ঃ

ফ্রীল্যন্সারগন সর্বদা ব্লগিং এর পথ বেছে নেই এই কারনে যে এইটা থেকে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। যা অন্য কোন ওয়ে থেকে বেশি পাওয়ারফুল। ব্লগারগন যেহেতু প্রতিনিয়ত তাদের ব্লগ আপডেট করে তাই এই সব ব্লগগুলাতে ভিসিটরগন প্রতিনিয়ত আসেন পড়তে। তাই এই সব ব্লগ গুলাতে অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলা তাদের নিজেদের পণ্যর জন্য বিজ্ঞাপন দেন। যত পরিমান ভিজিটর একটা ব্লগ এ বিচরন করেন তার উপর ভিত্তি করে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ তারা ব্লগের মালিকরে প্রদান করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের অ্যাডভারটাজিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে আয় করেন ব্লগাররা। অ্যাডভারটাজিং প্রোগ্রামের এর মধ্যে গুগল অ্যাডসেন্স খুবই পাওয়ারফুল। যারা প্রচুর পরিমান অর্থ দেয়। এতে করে দেখা যায় একজন ব্লগার প্রতি মাসে সর্বনিম্ন  ২০০ ডলার আয় করতে পারেন। এছাড়া ব্লগিং পদ্ধতিটা বর্তমানে মানুষের ভিতর প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছে। যত ব্লগিং বাড়ছে তত অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ তত আধুনিক হচ্ছে। বর্তমানে মানুষ ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট ওয়েব সাইট গুলাতে যেয়ে তার পছন্দের পণ্য অর্ডার করছেন এবং সেই জিনিস ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তির এই বর্তমান সময় টা ব্লগারদের জন্য আরও হেল্পফুল হচ্ছে। আকৃষ্ট ব্লগিং এর প্রতি।
তো আপনি কেন এই ব্লগিং থেকে পিছিয়ে আছেন। ফ্রীল্যান্সারদের বড় হাতিয়ার হল ব্লগ। তারা ব্লগ করে যেমন টাকা আয় করছেন ঠিক তেমনি পাচ্ছেন সন্মান। আমি এখন যাকে জিজ্ঞাস করি সেই বলে ভাই একটা ব্লগ নিছি। কাজ করছি। একবার ব্লগিং করে দেখেন কেমন মজা লাগে। ব্লগিং আপনাকে দিবে অবসর সময়ের বিনোদন। তাই আমি বলব আসুন সবাই শুরু করি ব্লগিং। আমার নিজের চোখে দেখা অনেক ভাল ভাল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্লগিং করছেন অনেকেই। ব্লগিং একদিকে যেমন আপনাকে গড়ে তোলে পারফেক্ট, মেধাবী, অধ্যাবসয়ী ঠিক তেমনি যোগান দেয় আপনার অর্থের। তাই সব ফ্রীল্যান্সারদেরকে একটা কথা বলি    

“ Blogging is one of the most important of your freelanching  life.
Because it`s very easy way for online income . So belive it ” 

আশা করি আপনারা আমার কথা বুঝতে পেরেছেন। ব্লগিং টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আজকের মত ক্লাস এখানে শেষ। সামনের ক্লাসে আমরা ব্লগিং এর জন্য সবচেয়ে পাওয়ারফুল সাইট ব্লগস্পট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কেমন লাগছে আজকের ক্লাস অবশ্যই জানাবেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন