রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২

ফার্স্ট লেডি নয় ‘আহমদের মা’


ডেস্ক রিপোর্ট
পশ্চিমা স্টাইলের ফার্স্টলেডি উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছেন মিসরের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির স্ত্রী নাজলা আলী। মিসরীয় নারীর চিরচেনা ভাবমূর্তিই তার পছন্দ। ‘আহমদের মা’ সম্বোধনেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। মুরসি দম্পতির বড় ছেলের নাম আহমেদ। গতকাল গালফ নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নাজলা বলেন, ‘ফার্স্টলেডি খেতাব আমি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। জিহান আল সাদাত (প্রয়াত মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের স্ত্রী) ও সুজান (পতিত স্বৈরশাসক মোবারকের স্ত্রী) এ উপাধি ব্যবহার করতেন। তারা উভয়েই রাজনীতি ও অর্থনীতিতে খবরদারি করতেন।’ নাজলা আরও বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়, শাসক (প্রেসিডেন্ট) হবেন দেশের
সবচেয়ে বড় গোলাম এবং তার স্ত্রীও হবেন দেশের সবচেয়ে বড় সেবিকা, ফার্স্টলেডি নয়।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, নাজলা বোরকা পরেন। পড়াশোনা তেমন হয়নি তার। কলেজের গণ্ডিও পার হননি। পশ্চিমা কায়দায় মিসরের অনেক নারী নিজের নামের শেষে স্বামীর পদবি ধারণ করলেও তিনি তাও করেননি। বরং ‘উম আহমেদ’ নামে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। এর অর্থ ‘আহমেদের মা’।
৬০ বছর বয়সী মুরসি পেশাগত জীবনে ছিলেন একজন বিমান প্রকৌশলী। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইডডি ডিগ্রি অর্জনকারী মুরসি কায়রোর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রী ৫০ বছর বয়সী নাজলা ঘর-সংসার সামলাতেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও স্বামীর সঙ্গী ছিলেন। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে আহমেদসহ দু’জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
নাজলা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বাস করা আমার পছন্দ নয়। আমি সাধারণ মানুষের মধ্যেই বাস করতে চাই। রাজপ্রাসাদে বাস করলে হৃদয় কঠিন হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে আমি সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বাস করতে এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার ভাগিদার হতে চাই।
নাজলাকে রাজনৈতিক মাঠে তেমনটা দেখা না গেলেও এরই মধ্যে অনেক মিসরীয় তার ভক্ত বনে গেছেন। ডালিয়া নামে প্রকৌশল বিষয়ের এক প্রভাষক বলেন, ‘তিনি আমার মায়ের মতো, শাশুড়ির মতো। তিনি সম্ভবত আপনারও মায়ের মতো।’ মুরসিও তার স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেছেন, তার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন নাজলাকে বিয়ে করা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন