বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১২

হিজাব পরা নিষিদ্ধ


হিজাব পড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের মতবিরোধের জের ধরে সোমবার চট্টগ্রাম সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে।

কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মানতে একদল ছাত্রী অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আর এ নিয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে ছাত্রীদের অভিযোগ, মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরিধান ও নামাজ পড়তে বাধা দেয়ার কারণে ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্ঠি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হিজাব নিয়ে সোমবার সকাল থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত ইনস্টিটিউটে অচলাবস্থা বিরাজ করে। কয়েকজন শিক্ষিকার সঙ্গে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং শিক্ষার্থীদের একটি কক্ষে আটকে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। এ সময় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের জানালে তারা সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হোসনে আরা পুলিশ পাহারায় আন্দোলনরত মেয়েদের হলে নিয়ে যান।

সেখানে উপস্থিত ভীতসন্ত্রস্ত ৭০ থেকে ৮০ ছাত্রী সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় মুসলিম পরিবারের হিজাব পরিধানকারী ছাত্রীরা তাদের ওপর চলমান বিভিন্ন নির্যাতনের বর্ণনা দেন। হিজাব এবং নামাজ পড়ার কারণে তাদের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ওয়ার্ড এ ডিউটিসহ পদে পদে বাধা দেয়ার নজিরবিহীন নির্যাতনের কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

ছাত্রীরা জানান, পূর্বে হিজাব নিয়ে সমস্যা করলেও এবার নামাজ পড়া এবং নামাজ ঘরের জায়গা নিয়েও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে ঝামেলা শুরু করেছে। সোমবার সকালে অধ্যক্ষ্যের নেতৃত্বে একদল শিক্ষিকা হোস্টেলের একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের নামাজ ঘরে রীতিমত হামলে পড়ে। তারা মসজিদে রাখা বিভিন্ন ধর্মীয় বই নিয়ে কটাক্ষ করে এবং ছাত্রীদের ধর্ম পালন নিয়ে কটূক্তি করে বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন